গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এবং লগো ডিজাইনিং
চিত্রলেখ বিষয়ক শিল্পকর্মকেই গ্রাফিক্স ডিজাইন বলা হয়ে থাকে । সহজভাবে বলতে গেলে টেক্ট বা নকশা ব্যবহার করে সুন্দর এবং মানসম্মত চিত্রকর্ম তৈরি করাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন বলা হয়ে থাকে।আরও সহজভাবে বলতে গেলে বলতে হয় আপনি নিশ্চই সংবাদ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের চিত্র দেখতে পান,বিভিন্ন কোম্পানির এড দেখতে পান ।এই যে চিত্রগুলো আপনি দেখতে পান এই চিত্রগুলোকেই বলা হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। আগের যুগে যে চিত্রকর্মগুলো শিল্পীরা হাতে একে তৈরি করত এখন সেইসব জিনিস তৈরি করা হচ্ছে কম্পিউটারের কিছু অসাধারন সফটঅয়্যার দিয়ে।এতে করে চিত্রগুলোকে আরও বাস্তবসম্মত করা সম্ভব হচ্ছে। কিছু সময় উপযোগী গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটঅয়্যার হচ্ছে অ্যাডোভ ফটোশপ,ইলাস্ট্রেটর ।
Graphics Designing Coursesকেন গ্রাফিক্স ডিজাইন?
অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে অপেক্ষাকৃত বেশি আয় করতে চান? পার্ট-টাইম বা ফুল টাইম কাজ খুঁজছেন? ক্রিয়েটিভ কিছু করতে মন চায়? সময় পেলেই কম্পিউটারের পেইন্ট টুলস, ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর নিয়ে কারো নাম বা ছবি নিয়ে কাজ শুরু করে দেন? তাহলে আপার জন্যই গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স । অন্যান্য সব চাকরির থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন পেশাটি সবচেয়ে কিছুটা নিরাপদ ও ঝামেলা বিহীন, কারণ হলো অন্যান্য সব পেশার বিপরীতে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কোনো কাজের অভাব হয় না। এটা একটি সন্মানজনক পেশাও।
কাজের ক্ষেত্র: বর্তমান সময়ে কোথায় প্রয়োজন নেই একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের? গ্রাফিক্স ডিজাইনের কিছু কাজের ক্ষেত্র তুলে ধরা হলঃ
১. ইন্টার্যাক্টিভ মিডিয়া : আমরা টেলিভিশন কিংবা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে যে মজার মজার কার্টুন কিংবা অ্যানিমেশন দেখে থাকি এই কার্টুন আর অ্যানিমেশন তৈরির কাজ কারা করে বলতে পারেন? একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার! তিনি গল্প, চরিত্র এবং তাঁর প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে ক্যারেক্টার তৈরি করেন। এরপর এই ক্যারেক্টারগুলোকে বিভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে জীবন্ত করে ফুটিয়ে তোলা হয়, সেখানে যুক্ত হয় বিভিন্ন শব্দ, মিউজিক এবং ইফেক্ট। ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী ইন্টার্যাকটিভ মিডিয়ার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত হচ্ছে, আর এই ক্ষেত্রে বাড়ছে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের কাজের সুযোগ।
২. ব্র্যান্ড ডিজাইন : একটি ব্র্যান্ডের প্রমোশনাল কাজের জন্য যত ডিজাইনের প্রয়োজন পড়ে তা একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারকেই তৈরি করতে হয়। এক্ষেত্রে তাঁকে উক্ত ব্র্যান্ডের টার্গেটেড অডিয়েন্স, প্রতিষ্ঠানের কাজের ধরণ এবং নামের উপর ভিত্তি করে ব্র্যান্ডের রং নির্বাচন, নির্দিষ্ট কালার স্কিম ডেভেলপমেন্ট, মাস্কট তৈরি এবং কর্পোরেট আইডেনটিটি ডিজাইনের কাজ করতে হয়। এছাড়াও উক্ত কো¤পানির প্রচারণার জন্য যত ধরণের ডিজাইনের প্রয়োজন হয় তাও একজন ব্র্যান্ড ডিজাইনার করে থাকেন। বর্তমানে মাঝারি মানের প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বড় প্রতিষ্ঠান, সর্বত্রই ব্র্যান্ড ডিজাইনারের চাহিদা রয়েছে। আর ডেডিকেটেড ব্র্যান্ড ডিজাইনার নিয়োগ দেয়াও এখন কর্পোরেট সংস্কৃতিতে পরিণত হচ্ছে। দিন দিন তাই এ ক্ষেত্রে বাড়ছে কাজের সুযোগ।
৩. লোগো ডিজাইন : লোগো হচ্ছে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের পরিচয়। এটি দেখেই প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে চিনে থাকেন তাঁর গ্রাহকরা। প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডিং করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে লোগো। আর এ কারণেই লগোর পিছনেই ব্র্যান্ড অপটিমাইজেশন বাজেটের একটি বড় অংশ বিনিয়োগ করে প্রতিষ্ঠানগুলো। এ কারণেই লোগো ডিজাইনার হিসাবে প্রতিটি প্রজেক্ট থেকে বড় মাপের অর্থ পাওয়া সম্ভব। নতুন প্রতিষ্ঠানের লোগো তৈরির পাশাপাশি পুরাতন প্রতিষ্ঠানের লোগো রি-ডিজাইনেরও প্রচুর কাজ থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন অনলাইন মার্কেট প্লেসে লোগো ডিজাইনের রয়েছে অনেক কাজ ।
৪. মার্কেটিং ব্রশিউর : দেখে থাকবেন প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই তাদের প্রচারের জন্য ব্রশিউর তৈরি করে থাকে। পণ্য বা সেবার প্রচারের জন্য ব্রশিউর বেশ কার্যকরী বলেই প্রতিষ্ঠানগুলো এ ক্ষেত্রে বেশ বিনিয়োগ করে। প্রতিষ্ঠানগুলো তাঁদেও মার্কেটিং ব্রশিউর যত সুন্দরভাবে ডিজাইন করতে পারে ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণও তত সহজ হয়। এ কারণেই এ ধরণের ডিজাইনগুলো ভাল মানের গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের দিয়ে করাতে চায় প্রতিষ্ঠানগুলো, আর এর প্রজেক্ট মূল্য অনেক বেশি হয়। বিশ্বব্যাপী পণ্য প্রচারের সংস্কৃতি যত বাড়ছে, মার্কেটিং ব্রশিউর ডিজাইনের কাজের ক্ষেত্রও তত বড় হচ্ছে।
৫. ম্যাগাজিন : অনলাইন এবং প্রিন্টেড যত ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয় সেগুলোতে নানাভাবে সৃজনশীলতা দেখানোর সুযোগ রয়েছে। কাভারপেজ ডিজাইন থেকে শুরু করে শেষ পাতা পর্যন্ত, সর্বত্রই একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের ছোঁয়া থাকতেই হয়। এছাড়াও ম্যাগাজিনগুলোতে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ক্রিয়েটিভ তৈরি, পাঠকের পড়ার সুবিধা নিয়ে চিন্তা করা এবং সে অনুযায়ী ডিজাইনে পরিবর্তনের কাজও করতে হয় একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে। এ কারণে ম্যাগাজিনগুলোতে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের প্রচুর কাজের সুযোগ রয়েছে।
৬. কর্পোরেট রিপোর্টস : কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব রিপোর্ট কিংবা প্রেজেন্টেশন তৈরি করেন তা সবসময়ই সুন্দর এবং সৃজনশীল উপস্থাপনায় থাকে। প্রতিবেদনের তথ্য প্রতিষ্ঠানের অন্য কোন বিভাগ থেকে আসলেও এটি উপস্থাপনার কাজ কিন্তু একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারকেই করতে হয়। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার বিভিন্ন কো¤পানির কর্পোরেট রিপোর্ট তৈরি করেও ভালমানের আয় করতে পারেন।
৭. সংবাদপত্র : গ্রাফিক্স ডিজাইনার ছাড়া সংবাদপত্র! মোটেই সম্ভব নয়। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারই একটি সংবাদপত্রকে পাঠযোগ্য সংবাদপত্রের মতো করে তোলেন! এখানে ডিজাইন পেশার সন্মানটাও অনেক বেশি। হতে পারেন ডিজাইন উদ্যোক্তা! কিছু সাইট আছে যেখানে আপনি ডিজাইন টেমপ্লেট বিক্রি করতে পারবেন। ধরুন, আপনি একটি বিজনেস কার্ডের ডিজাইন করলেন যেটির সম্পাদনা যোগ্য একটি ফাইল আপনি বিক্রি করতে চান।
Graphics Designing COurse
গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে শিক্ষাগত যোগ্যতা:
Graphics Designing COurse
গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে শিক্ষাগত যোগ্যতা:
গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে শিক্ষাগত যোগ্যতা মূল বিষয় না। তবে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাফিক্স ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা কিংবা ফাইন আর্টসে ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী কর্মী চেয়ে থাকেন। তবে ডিগ্রি কোন ব্যাপারই নয়, যদি আপনি কাজটি ভালোভাবে জানেন এবং সৃজনশীল হয়ে থাকেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইনে দক্ষ হওয়ার জন্য:
গ্রাফিক্স ডিজাইনে দক্ষ হওয়ার জন্য:
১. কম্পিউটারে গ্রাফিক্স এবং ডিজাইন সফটওয়্যারগুলোর ব্যবহার জানতে হবে। যেমন: অ্যাডবি ইলাস্ট্রেটর, অ্যাডবি ফটোশপ।
২. দক্ষতা, ক্রিয়েটিভ ভিশন এবং কমিউনিকেশন স্কিল ভালো করতে হবে।
৩. ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইন স¤পর্কিত কোনো ডিগ্রি থাকা ভাল।
৪. গ্রাফিক্স ডিজাইন ইন্ডাস্ট্রির সর্বশেষ সংবাদ স¤পর্কে আপ-টু-ডেট থাকতে হবে।
৫. একটা ভালো পোর্টফোলিও তৈরি করতে হবে, যার মাধ্যমে আপনি আপনার গ্রাহকদের কাছে প্রফেশনাল দক্ষতাকে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।
২. দক্ষতা, ক্রিয়েটিভ ভিশন এবং কমিউনিকেশন স্কিল ভালো করতে হবে।
৩. ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইন স¤পর্কিত কোনো ডিগ্রি থাকা ভাল।
৪. গ্রাফিক্স ডিজাইন ইন্ডাস্ট্রির সর্বশেষ সংবাদ স¤পর্কে আপ-টু-ডেট থাকতে হবে।
৫. একটা ভালো পোর্টফোলিও তৈরি করতে হবে, যার মাধ্যমে আপনি আপনার গ্রাহকদের কাছে প্রফেশনাল দক্ষতাকে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।
BLACK iz IT Graphics Design COurse
গ্রাফিক্স ডিজাইনারের আয়:
গ্রাফিক্স ডিজাইনারের আয়:
প্রতি মাসে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের আয় কত হতে পারে? এ সম্পর্কে ডিজাইনারদের বেতন নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ডিজাইনার স্যালারিজ-এর মতে, একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার প্রতি বছরে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করে ১ লাখ ডলার বা প্রায় ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারে। বাংলাদেশে গ্রাফিক্স ডিজাইনে ডিপ্লোমাধারীর বেতন মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। তবে ব্যাচেলর ফাইন আর্টসে ব্যাচেলর ডিগ্রিধারীদের বেতন মাসিক ৪০ হাজার টাকা থেকে ২-৩ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। [সূত্র: বিডিজবস]
এছাড়া অনলাইন মার্কেটপ্লেসে আপনি একটি লোগো ডিজাইন করলে ৫০ থেকে শুরু করে ২ হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে। তবে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে এটি ৫ থেকে ১০ হাজার ডলার পর্যন্তও হতে পারে। একটি ওয়েবসাইটটের প্রথম পেজ ডিজাইন করার ক্ষেত্রে ৫০ ডলার থেকে শুরু করে ৩ হাজার ডলার পর্যন্ত পেতে পারেন। পূর্ণাঙ্গ একটি ওয়েবসাইটের ডিজাইন করে পাওয়া যায় ২শ থেকে ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত। ব্র্যন্ড অপটিমাইজেশন এবং ব্রশিউর তৈরির প্রজেক্টগুলোও ৩০০ থেকে ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে। ফ্রিল্যান্সার হিসাবে একজন ভালো মানের গ্রাফিক্স ডিজাইনার মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে আয় করতে পারেন ১ থেকে দেড় লাখ টাকা।
BLACK iz Photo Edeting Courseগ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্সটিতে যা থাকবেঃ
১. লোগো ডিজাইন
২. ফ্লেক্স ডিজাইন
৩. গ্রিডিং কার্ড ডিজাইন
৪. বিজনেস কার্ড ডিজাইন
৫. বিজনেস ফর্ম ডিজাইন
৬. ব্রুসিয়ায় ডিজাইন
৭. ক্যালেন্ডার ডিজাইন
৯. ক্যাটালগ ডিজাইন
১০. পোস্টার ডিজাইন
১১. লেটার হেড ডিজাইন
১২. বুক কাভার ডিজাইন
১৩. নিউজ পেপার ও ম্যাগাজিন ডিজাইন
১৪. ই-বুক ডিজাইন
১৫. ফ্লাইর ডিজাইন
১৬. আরও অনেক...
২. ফ্লেক্স ডিজাইন
৩. গ্রিডিং কার্ড ডিজাইন
৪. বিজনেস কার্ড ডিজাইন
৫. বিজনেস ফর্ম ডিজাইন
৬. ব্রুসিয়ায় ডিজাইন
৭. ক্যালেন্ডার ডিজাইন
৯. ক্যাটালগ ডিজাইন
১০. পোস্টার ডিজাইন
১১. লেটার হেড ডিজাইন
১২. বুক কাভার ডিজাইন
১৩. নিউজ পেপার ও ম্যাগাজিন ডিজাইন
১৪. ই-বুক ডিজাইন
১৫. ফ্লাইর ডিজাইন
১৬. আরও অনেক...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন